শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আশরাফুল আশরাফ বলেছেন, উগ্রবাদ ও সহিংসতা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির বড় প্রতিবন্ধকতা। এটি আমাদের মারাত্মক ব্যাধি যা আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে উগ্রবাদ ও সহিংসতা রুখতে হবে। গতকাল সোমবার কলাতলীর এক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার ‘সিভিক কনসোর্টিয়াম’ প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে নাগরিক সমাজের ভূমিক’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সমাজে বসবাসকারী মানুষের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে স্বাধীনতা মানে এই নয় যে অন্যের হয় মতো যা ইচ্ছা তা করা। অন্যের ক্ষতি করে যা ইচ্ছা তা করাই হচ্ছে উগ্রবাদ ও সহিংসতা। দাবির আদায়ের জন্য উগ্রতা ও সহিংসতা করা যাবে না। শান্তিপূর্র্ণ কর্মসূচী দিয়েই দাবি আদায় করা যায়।

বক্তারা আরো বলেন, তরুণারই বেশি উগ্রবাদ ও সহিংসতায় জড়ায়। তাদেরকে তা থেকে বিরত রাখতে প্রথমের অবদান রাখতে পারে পারিবারিক শিক্ষা। এই জন্য মা-বাবাকে সন্তানের খোঁজ-খবর রাখতে হবে। সন্তানকে বন্ধুর মতো ভালোবেসে পারিবারিক বন্ধনে জড়িয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও ধর্মীয় অনুশাসন, মাদক থেকে দূরে থাকা। অতিরিক্ত অর্থের প্রতি লিপ্সা কমাতে হবে। তবেই উগ্রবাদ ও সহিংসতা থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের দেশটা শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।

ইপসা শ্যাডের নির্বাহী পরিচালক মো. ওমরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) বাবুল চন্দ্র বণিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সরওয়ার আকবর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: শহীদ উল্লাহ, নোঙরের প্রধান নির্বাহী দিদারুল আলম রাশেদ, হেলপ কক্সবাজার’র নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম। এছাড়াও সাংবাদিক, ইমাম, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, সমাজপতি ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। গোলটেবিল বৈঠক পরিচালনা করেন ইপসার ‘সিভিক কনসোর্টিয়াম’ প্রকল্প প্রধান খালেদা বেগম।